Wellcome to National Portal
স্থাপত্য অধিদপ্তর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্রধান স্থপতি

মীর মনজুরুর রহমান

 

প্রধান স্থপতি মহোদয়ের জীবনবৃত্তান্তঃ

মীর মনজুরুর রহমান

প্রধান স্থপতি

স্থাপত্য অধিদপ্তর

 

জনাব মীর মনজুরুর রহমান, বরগুনা জেলা সদরে ছোট্ট গৌরীচন্না গ্রামের ‘মীরা বাড়ি’তে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ঢাকা বি.এ.এফ. শাহীন স্কুল থেকে ১৯৮১ সালে পাঁচটি লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগে এস.এস.সি., নটরডেম কলেজ থেকে স্টার মার্কসহ ১৯৮৩ সালে এইচ.এস.সি., বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা থেকে ১৯৯১ সালে ব্যাচেলর অব আর্কিটেকচার ডিগ্রী লাভ করেন  তাছাড়া ২০০২ সালে নেদারল্যান্ড সরকারের  NFP স্কলারশীপে International Institute for Geo-Information Science and Earth Observation (ITC), The Netherland থেকে Professional Master in Urban Planning & Land Management (UPLA) Ges 2012 এবং ২০১২ সালে Vanier College, Montreal, QC, Canada থেকে Professional diploma on Revit Architecture করেন।

তিনি ৩০-০৫-১৯৯৩ সালে ‘সহকারী স্থপতি পদে  স্থাপত্য অধিদপ্তরে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (HDB) -তে ২(দুই) বছর লিয়েনে চাকরি করেন। সুদীর্ঘ চাকরিকালীন সময়ে তিনি পর্যায়ক্রমে সহকারী প্রধান স্থপতি, উপ-প্রধান স্থপতি, অতিরিক্ত প্রধান স্থপতির দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন শেষে বিগত ২৭-০১-২০২১ তারিখ প্রধান স্থপতি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে স্থাপত্য অধিদপ্তরের দপ্তর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত ৩০ বছরের কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুখী ও সমৃদ্ধি দেশ গঠনে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রধান স্থপতি পদাধিকার বলে তার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী প্রায় ৪০টি মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডের সহযোগী হিসেবে প্রায় শতাধিক প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান।

এই সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি রাষ্ট্রীয় অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমনঃ বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সহস্রাধিক আবাসিক ভবন, অফিস, হাসপাতাল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইনস্টিটিউট, বাণিজ্যিক ভবন, সামাজিক কেন্দ্র, পার্ক ইত্যাদি প্রকল্পের নকশা প্রণয়নের ও পরিকল্পনার সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন। শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট, ঢাকা; শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, জামালপুর; শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সাভার; বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হাসপাতাল এন্ড নার্সিং কলেজ, গাজীপুর; শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ; শেখ রাসেল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সিলেট; শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মাদারীপুর; শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স, বেইলী রোড, ঢাকা; সারা দেশব্যাপী বধ্যভূমি সংরক্ষণের নিমিত্তে ১০০টির অধিক বধ্যভূমির নকশা, ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্থাপনা ও সারা দেশব্যাপী জেলা রেজিষ্ট্রার ও সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস ইত্যাদি প্রকল্পসমূহের নকশা তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রণীত হয়েছে।

এছাড়া রাজউকের ১৮ নং সেক্টরে ৮৭.১৯ একর (ব্লক-এ) জমিতে ৭৯টি ভবনে মোট ৬,৬৩৬টি এপার্টমেন্ট প্রকল্প, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের লালমাটিয়া নিউ কলোনীতে ১৫৩টি ফ্ল্যাট প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নকশা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আজিমপুর জোন-এ তে ১১৪০টি ফ্ল্যাট, জোন-বি’ তে ১৭৪৮ টি ফ্ল্যাট প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে ৫০৪টি ফ্ল্যাট প্রকল্প, মিরপুরের পাইকপাড়ায় ১২০০ ফ্ল্যাট প্রকল্প, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সি.জি.এস. কলোনীতে মোট ৬৮৪টি ফ্ল্যাট প্রকল্পসহ অসংখ্য আবাসিক প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা তার তত্ত্বাবধানে প্রণীত হচ্ছে।

তিনি বাংলা, ইংরেজী, হিন্দী ও ফরাসী ভাষায় পারদর্শী। অবসরে সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, টেনিস ও ভ্রমণে উৎসাহী। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ও ব্যক্তিগতভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ইটালী, পর্তুগাল, অষ্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, মিশর, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভারত সফর করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১(এক) পুত্র ও ১(এক) কন্যা সন্তানের জনক।

মীর মনজুরুর রহমান চাকরি জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। যেমন- নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা; ফেলো-সদস্য, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ; সদস্য, বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব লি:; সদস্য, ক্লাব শাহীনস লি:; সদস্য, উত্তরা অফিসার্স ক্লাব; আজীবন সদস্য, KOICA BD Alumni Association; সদস্য, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফটোগ্রাফি।